মাথা ব্যথা ও মাইগ্রেনের আয়ুর্বেদিক টিপস
(প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে আরাম পেতে আজই চেষ্টা করুন)
আজকের আলোচনায় আমরা জানবো কিছু কার্যকর আয়ুর্বেদিক টিপস, যেগুলো মাথা ব্যথা ও মাইগ্রেন থেকে প্রাকৃতিকভাবে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে।

তুলসীতে রয়েছে প্রাকৃতিক ব্যথানাশক উপাদান যা মানসিক চাপ হ্রাস করে।
ব্যবহার পদ্ধতি:
৩-৫টি তুলসী পাতা এক কাপ পানিতে ফুটিয়ে দিনে ২ বার পান করুন। চাইলে সামান্য মধু মেশাতে পারেন।

আদা মাথা ব্যথা ও বমিভাব কমাতে অত্যন্ত কার্যকর।
ব্যবহার পদ্ধতি:
আদা গুঁড়ো দিয়ে গরম পানিতে চা বানিয়ে দিনে ২ বার পান করুন। অথবা আদা পেস্ট কপালে লাগালেও উপকার পাবেন।

ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মাথা ব্যথা প্রশমনে আরাম দেয়।
ব্যবহার পদ্ধতি:
২-৩ ফোঁটা তেল হাতে নিয়ে কপাল ও কানের পিছনে হালকা ম্যাসাজ করুন। অথবা হালকা গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা দিয়ে ইনহেল করুন।

ডিহাইড্রেশন থেকেও মাথা ব্যথা হতে পারে। লেবু ও মধুর পানীয় শরীরকে হাইড্রেট করে।
ব্যবহার পদ্ধতি:
এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা লেবুর রস ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন।

এই প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে নাক দিয়ে প্রাকৃতিক তেল প্রয়োগ করা হয় যা স্নায়ু ও মাথার যন্ত্রণা প্রশমনে সহায়ক।
ব্যবহার পদ্ধতি:
নস্যা তেল (যেমনঃ অনু তেল) প্রতিদিন সকালে ২ ফোঁটা করে দুই নাকে প্রয়োগ করুন।

পিপারমিন্ট চায়ের মেন্থল উপাদান মাথার পেশি শিথিল করে আরাম দেয়।
ব্যবহার পদ্ধতি:
পিপারমিন্ট চা দিনে একবার পান করুন, বিশেষ করে মাথা ব্যথার শুরুতে।

প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম এবং ধ্যান বা যোগ ব্যায়াম মাথা ব্যথা কমাতে অসাধারণ কাজ করে।
অভ্যাস করুন:
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমানো, ঘুমের আগে মোবাইল ব্যবহার কমানো ও ধ্যানের চর্চা।

>> দীর্ঘমেয়াদি ও তীব্র মাথা ব্যথা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
>> গর্ভবতী নারী, শিশু বা ওষুধ গ্রহণকারী রোগীরা আয়ুর্বেদিক উপাদান ব্যবহারের আগে সতর্ক থাকুন।

মাথা ব্যথা বা মাইগ্রেন যতটা সাধারণ মনে হয়, তা ততটাই যন্ত্রণাদায়ক। তবে প্রাকৃতিক ও আয়ুর্বেদিক উপায়ে নিয়মিত যত্ন নিলে এটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এই টিপসগুলো চেষ্টা করুন এবং নিজের শরীরের পরিবর্তন লক্ষ্য করুন।


সুস্থ থাকুন, নিজের যত্ন নিন।
KAAF Multimedia-এর পক্ষ থেকে শুভকামনা!